![](https://www.amarbdonline.com/wp-content/uploads/2025/01/rajshahi.jpg)
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) কোরআন পোড়ানোর অভিযোগে একজনকে আটক করা হয়েছে। ময়মনসিংহের ভালুকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিট তাকে আটক করেছে।
আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ময়মনসিংহের ভালুকায় পুলিশের সাইবার ক্রাইমের এক অভিযানে তাকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকালে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা দাবি করেন, আসামি নিজে ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার বিষয়ে স্বীকারোক্তি দিয়েছে।
উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেন, আটক ছেলেটি আমাদের প্রধান সন্দেহভাজন ছিল। তার বিষয়ে আমরা তথ্য পেয়ে পুলিশকে জানাই। সে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গায় থাকায় তাকে ট্রেস করতে আমাদের কিছুটা সময় লেগেছে এবং শেষ পর্যন্ত তাকে পুলিশি কাস্টডিতে নেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, গত ১২ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে ও মসজিদে কোরআন শরিফ পুড়িয়ে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। ওই দিন একটি হলের দেয়ালে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) লোগো পদ্মফুলের ছবিও এঁকে রেখে যায় কে বা কারা। এই ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পরদিন শহিদ মিনার মুক্তমঞ্চে কোরআন তেলাওয়াত করে প্রতিবাদ জানান শিক্ষার্থীরা।
ঘটনার দিন শৃঙ্খলা উপ-কমিটির সঙ্গে এক জরুরি সভায় ঘটনা সম্পর্কে আলোচনা করেন উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব। এরপর ঘটনা তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খানকে আহ্বায়ক করে ৯ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কমিটিকে ৩ কার্যদিবসের মধ্যে প্রাথমিক প্রতিবেদন ও ৭ কার্যদিবসের মধ্যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়
মো: গোলাম কিবরিয়া
রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি