রাজশাহীতে কৃষক পাচ্ছে আধুনিক সেচ ব্যবস্থা।
দেড় যুগ আগেও এসব জেলায় সেচের অভাবে অনাবাদি পড়ে থাকত শত শত হেক্টর জমি। শুষ্ক মৌসুমে ফসলি জমির মাটি ফেটে যেত। শুধু বর্ষাকালেই কৃষকেরা এক মৌসুমে চাষাবাদ করতে পারতেন। কিন্তু বরেন্দ্র সেচ প্রকল্প চালুর পর সেই দৃশ্য পাল্টে গেছে।
বর্তমানে স্মার্ট প্রিপেইড কার্ডের মাধ্যমে ঘণ্টাপ্রতি ১২০ থেকে ১৪৫ টাকায় সেচ সুবিধা পাচ্ছেন কৃষকেরা। ফলে আউশ, আমন ও রবি মৌসুমে কোনো জমি অনাবাদি থাকছে না। সরিষা, ভুট্টা, পেঁয়াজ ও আলুসহ নানা ধরনের ফসলের সমারোহ দেখা যাচ্ছে বরেন্দ্র অঞ্চলে।
বিএমডিএ’র রাজশাহী রিজিয়নের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সেচ কার্যক্রম চালু রাখতে গভীর নলকূপ স্থাপন এবং নদী-খাল খননের মাধ্যমে পানি সংরক্ষণ করা হচ্ছে। তবে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় ভূ-উপরস্থ পানি ব্যবহারে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। কৃষকদের পানি সাশ্রয়ী ফসল চাষে উদ্বুদ্ধ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
রাজশাহী, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, বগুড়া ও পাবনায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় অনেক গভীর নলকূপে পানি উঠছে না। প্রায় ২০০টি ডিপ টিউবওয়েল নষ্ট হয়ে গেছে।
বিএমডিএর সেচ উইংয়ের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর আলম খান জানান, এসব এলাকায় নতুন গভীর নলকূপ স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে।
বরেন্দ্র অঞ্চলে ৯ হাজার ১০০টি গভীর নলকূপের মাধ্যমে প্রায় ৫ লাখ কৃষকের ৩ লাখ হেক্টর জমিতে সেচ দেয়া হচ্ছে। কৃষকেরা এই উদ্যোগকে কৃষি উৎপাদনের জন্য আশীর্বাদ হিসেবে দেখছেন
মো: গোলাম কিবরিয়া
রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি