দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং গণমানুষের সার্বিক কল্যাণ মুক্তির জন্য জনগণের বাংলাদেশ গড়তে দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
তিনি গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর উত্তরায় নবাব হাবিবুল্লাহ মডেল স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের উত্তরা পূর্ব থানা আয়োজিত এক কর্মী সম্মেলন ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
থানা আমীর মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি হামিদুল ইসলামের পরিচালনায় এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারি সেক্রেটারি নাজিম উদ্দীন মোল্লা ও ডা. ফখরুদ্দীন মানিক, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও উত্তরা পূর্ব জোন পরিচালক জামাল উদ্দিন। বক্তব্য রাখেন, উত্তরা পশ্চিম জোন সহকারী মাহবুবুল হক,উত্তরা পশ্চিম থানা আমীর মাজহারুল ইসলাম, তুরাগ দক্ষিণের আমীর মাহবুবুর রহমান, তুরাগ মধ্য থানা আমীর গাজী মনির হোসাইন, তুরাগ মধ্য থানা নায়েবে আমীর কামরুল হাসান,উত্তরা পশ্চিম থানা সেক্রেটারি ফিরোজ আলম, তুরাগ দক্ষিণ থানা সেক্রেটারি আবু বকর সিদ্দিক প্রমুখ।
সেলিম উদ্দিন বলেন, দুনিয়া খুব ক্ষণস্থায়ী, আর আখেরাত হচ্ছে চিরস্থায়ী। আমরা সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য পৃথিবীতে এসেছি। আল্লাহ তা’য়ালা আমাদেরকে পরীক্ষা করার জন্য দুনিয়াতে প্রেরণ করেছেন। পবিত্র কালামে হাকীমের সূরা আল মূলকে বলা হয়েছে, ‘আমি জীবন ও মৃত্যু সৃষ্টি করেছি এজন্য যে, কে সবচেয়ে নেক আমল করে তা পরীক্ষা করার জন্য’। আর যারা হেদায়েতের ওপর রয়েছেন তাদের কোন দুশ্চিন্তা নেই।
সে হেদায়েত হচ্ছে মহাগ্রন্থ আল কুরআন। তাই কোন মুমিনের পক্ষে দুনিয়াতে স্বেচ্ছাচারী হওয়ার সুযোগ নেই বরং আখেরাতের জন্য পাথেয় সংগ্রহ মুমিনের কাজ। আর ইসলাম হচ্ছে শাস্বত ও পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। তাই দুনিয়ায় শান্তি ও পরকালীন মুক্তির জন্য সকলকে ইসলামের ছায়াতলেই আশ্রয় গ্রহণ করতে হবে। মানবরচিত কোনো আদর্শ বা মতবাদ মানুষের জন্য কল্যাণকর নয়। বিষয়টি প্রমাণিত সত্য।
জামায়াত দেশকে ন্যায়-ইনসাফের ভিত্তিতে ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করে ক্ষুধা, দারিদ্রমুক্ত ও ইনসাফপূর্ণ নতুন বাংলাদেশ গড়তে বদ্ধপরিকর। তিনি সেই স্বপ্নের সমাজ প্রতিষ্ঠায় ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের ময়দানে আপোষহীন থাকার আহ্বান জানান।তিনি বলেন, দ্বীন প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা চালানো প্রত্যেক নবী-রাসূল গণের ওপর ফরজ ছিল। সর্বশেষ বিশ্বনবী (সা.) এ দায়িত্ব নিয়েই দুনিয়াতে এসেছিলেন।
আসহাবে রাসূল (সা.)গণ এই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে গেছেন। সে ধারাবাহিকতায় তা এখন আমাদের ওপর বর্তেছে। আর দ্বীন কায়েমের পথ মোটেই ফুল বিছানো নয় বরং এতে নানা ঘাত-প্রতিঘাত রয়েছে। দ্বীনে হক্বের দাওয়াত দিতে নবী-রাসূলগণও জুলুম- নির্যাতনের হাত থেকে রেহাই পাননি। তাই সকল প্রকার বাধা-প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করেই ইসলামের দাওয়াত প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছাতে হবে। ছাত্র-জনতার বিপ্লবকে কাজে লাগিয়ে স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদ মুক্ত দেশ গড়তে দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। অন্যথায় পতিত স্বৈরাচার আবারো মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে।
সূত্র : জামায়াত ঢাকা সিটি উত্তর