লগি বৈঠার তাণ্ডবে বাংলাদেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে জবাই করা হয়েছিল- Dr. Shafiqur Rahman

ঢাকা মহানগরী উত্তর জামায়াতের #রুকন_সম্মেলন

লগি বৈঠার তাণ্ডবে বাংলাদেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে জবাই করা হয়েছিল- Dr. Shafiqur Rahman

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর লগি-বৈঠার তাণ্ডব চালিয়ে বাংলাদেশের মানবতা, গণতন্ত্রকে এবং জনগণের ইচ্ছা ও আশা-আকাঙক্ষাকে জবাই করা হয়েছিল। ঐদিনই সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশ পথ হারিয়েছিল।

তিনি বলেন, মুষ্টিমেয় কিছু দুর্বৃত্ত ছাড়া বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ মজলুম ছিলেন। আর মজুলুমদের সামনের কাতারে ছিল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

রোববার সকালে রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ঢাকা মহানগরী উত্তর জামায়াতের রুকন(সদস্য) সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির Mohammad Selim Uddin এর সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি Dr. Rezaul Karim এর সঞ্চালনায় রুকন সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন বৈষ্যমবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ নাসিব হাসান রিয়ানের পিতা মো. গোলাম রাজ্জাক। সম্মেলনে দারসুল কুরআন পেশ করেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল Maulana Abdul Halim। সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি Professor Mujibur Rahman, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল Maulana Rafiqul Islam Khan, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য আব্দুর রব,কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির Nurul Islam Bulbul, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসেন, ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম । এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমির Abdur Rahman Musa, ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা, সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, নাজিম উদ্দীন মোল্লা, ডা.ফখরুদ্দিন মানিক, মহানগরী উত্তর শিবির সভাপতি আনিসুর রহমান, পশ্চিমের সভাপতি সালাহ মাহমুদ প্রমুখ।

জামায়াত আমির বলেন, দীর্ঘ সাড়ে ১৭ বছর বহু ত্যাগ ও কষ্ট স্বীকার করে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বাংলাদেশ আবার আপন পথ ফিরে পেয়েছে।

তিনি বলেন,যাদেরকে হত্যা করা হয়েছে তারা কোনো অপরাধ করেননি। তারা জামায়াতে ইসলামীর সমাবেশে এসেছিল। তারা কাউকে আঘাত করেনি। সম্পূর্ণ গায়ের ওপর পড়ে তাদেরকে সাপের মতো পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। মাটিতে পড়ে যাওয়া লাশগুলোর ওপর পাষাণরা সেদিন দাঁড়িয়ে নাচানাচি করেছিল।

ডা. শফিকুর বলেন, ঢাকা মেডিকেল থেকে লাশ চুরি করার চেষ্টা করা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত এই বেদনায়ক ইতিহাসও তারা চুরি করে ফেলল। খুনের মাস্টারমাইন্ড, যার ওপর দায় আসে-তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল। ক্ষমতার গরমে সেই মামলা শেষ করে দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ চাইলে মাটির নিচ থেকে সেই মামলা উঠে আসবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

তিনি বলেন, সেই দিনের হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে সারা বিশ্বকে স্তম্ভিত করে দিয়েছিল। বহু শিশু এই দৃশ্য দেখার পর একনাগারে অনেকদিন রাতে ঘুমাতে পারেনি, চিৎকার দিয়ে উঠেছিল। কিন্তু মজলুমরা তার বিচার পায়নি।

জামায়াতের আমির বলেন, ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে পিছনের দরজা দিয়ে সাজানো-পাতানো নির্বাচনের মাধ্যমে ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসেছিল তারা। এখন তাদের নাম সাহস করে কেউ নেয় না। তাদের দল (আওয়ামী লীগ) যারা করে তারাও সেই নাম নিতে চায় না। আমরা মজলুম জনগণ তাদের নাম নেব কেন?

তিনি বলেন, তাদেরকে তারা নিজেরা নিষিদ্ধ করার ইতিহাস আছে। তারা যখন বাকশাল কায়েম করে তখন তাদের দলসহ সকল রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করেছিল। আর এবার আল্লাহর সাহায্য নিয়ে জনগণ তাদের দলকে নিষিদ্ধ করেছে।

ডা. শফিকুর বলেন, সাড়ে ১৫ বছর দাপটের সাথে তারা দেশ শাসন করেছেন। ক্ষমতায় আসার মাত্র ২ মাসের মাথায় দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর গায়ে তারা আঘাত করে ৫৭ জন চৌকস ও দেশপ্রেমিক, প্রতিশ্রুতিশীল সেনা কর্মকর্তাকে বেদনাদায়কভাবে হত্যা করেছিল।

তিনি বলেন, সেনা কর্মকর্তাদের হত্যার ঘটনায় তদন্তের যে উদ্যোগ সরকার নিয়েছিল তা জনগণকে ধোকা দেওয়ার জন্য। নেপথ্যের নায়কদেরকে, হুকুমদাতাদেরকে, দৃষ্কৃতিকারীদেরকে আড়াল করার জন্য। মিডিয়ার সদস্যরা হাতের পুতুল ও বলির পাঠা ছিল। এদের সংখ্যা পঞ্চাশের অধিক ছিল না।

২০১২ সালে কারাবরণ করে কারাঅভ্যন্তরে সেই খুনিদের সঙ্গে নিজের কথোপকথনের সময় তাদের কাছে যে বিবরণ পেয়েছেন তা তিনি তুলে ধরে বলেন, ‘তিনি একজন খুনির কাছে জানতে চেয়েছিলেন-এই ষড়যন্ত্রের নায়ক কারা? জবাবে খুনি নাম বলেছিল। তার ভাষ্যমতে সেই খুনিই দেশনায়কে পরিণত হয়েছিল, বলেন তিনি।

জামায়াত আমির বলেন, এই খুনিরা খুনের রাজত্ব কায়েম করেছিল। এরা রাজা রাণীর বেশে ছিল। এরপরই তারা একই সাথে দুটো বাহিনীকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছিল। সেনাবাহিনীর মনোবল ভেঙে দিল এবং বিডিআরের নাম নিশানা মুছে দিয়েছিল। শুধু ক্ষমতার অবৈধ আশা পূরণের জন্য তারা একাজ করেছিল। ঐ কুখ্যাত দলে নেতা-নেত্রীরাই এই কাজ করেছিলেন।

তিনি বলেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের নায়ক-নায়িকারা তাদের অপরাধের পাওনা এখনো পায়নি। এ পাওনা তাদেরকে পেতে হবে।

জামায়াতের আমির বলেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ডের পর তারা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ওপর আঘাত দিতে শুরু করে। কারণ, তারা জানত জামায়াত দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব কারে কাছে বিলিয়ে দিতে রাজি হয়নি। বিক্রি করতে রাজি হয়নি এবং কোনো অন্যায়ের কাছে মাথানত করেনি। তাই তারা তিলে তিলে গড়ে ওঠা জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের বিচারিক হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে দুনিয়া থেকে বিদায় করেছে। বর্তমানে রাজপথের স্লোগান হলো ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’-জামায়াতের স্লোগানও ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস।’

তিনি বলেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত সকল খুনিদের বিচার করতে হবে। তবে অগ্রাধিকারভিত্তিতে আগে সাম্প্রতিক গণহত্যায় জড়িতদের বিচার করতে হবে। তাদের বিচার এজন্য করতে হবে- শহীদদের তাজা রক্ত এখনো ভাসছে। আহতরা কাতরাচ্ছে। সাক্ষী মজুদ। আলামত জীবন্ত ও স্পষ্ট। যত দ্রুত সম্ভব ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করে ওদেরকে সঠিক পাওনা বুঝিয়ে দিতে হবে।

জামায়াত আমির বলেন, আমরা কোনো জুলুম ও অবিচার কারো ওপর চাই না। তারা দীর্ঘদিন যেসকল কালাকানুন করেছিলেন তাই দিয়ে তাদের বিচার হোক। তারা যেন তাদের সঠিক পাওনাটা পান। তাদেরকে যেন পাওনা থেকে বঞ্চিত করা না হয়। যার যেটা পাওনা সেইটাই যেন পান।

তিনি বলেন, আমাদের একেকজন নেতাকে হত্যা করে দেশে বিভীষিকাময় অবস্থা তৈরি করা হয়েছে। গল্প ফাঁদা হয়েছে। মিডিয়াগুলোকে অপপ্রচারের হাতিয়ারে পরিণত করা হয়েছে। কত হাজার মামলা আমাদের বিরুদ্ধে- এর অর্থ হলো বাংলাদেশে প্রতিবাদী কণ্ঠকে স্তব্ধ করে দেওয়া। অন্যায়ের বিরুদ্ধে কেউ যাতে সোচ্চার প্রতিবাদ করতে না পারে। চতুর্দিক থেকে চাপ প্রয়োগ করে নড়তে দেওয়া হয়নি। শাহবাগে আসর বসিয়ে আজেবাজে জিনিসও সরবরাহ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ২০১৩ সালের ৫ মে বিভিন্ন দাবিতে সোচ্চার অরাজনৈতিক একটি সংগঠন হেফাযতের ওপর ক্র্যাকডাউন করা হয়েছিল। তা ছিল আরেকটি মানবতাবিরোধী অপরাধ। এটি ছিল আরেকটি গণহত্যা। কতজনকে হত্যা করা হয়েছে তা আজও জাতি জানতে পারেনি।

জামায়াত আমির বলেন, সাড়ে ১৫ বছর তারা গর্ব ও অহংকারের সাথে দেশ শাসন করেছেন। দম্ভ ও দাপটে তারা মানুষকে মানুষ হিসেবে গণ্য করেনি। সমস্ত মানবতাকে নিয়ে দফায় দফায় উপহাস করেছে। আল্লাহ সাময়িক কিছু পরিণতি তাদেরকে দিয়েছেন মাত্র। তারা অপকর্মের জন্য জাতির কাছে ক্ষমা না চেয়ে আনসারলীগ, বিচারলীগ করেছে।

তিনি বলেন, তারা সম্প্রতি আরেকটি রূপে ফিরে আসার চেষ্টা করছেন। দাড়ি ও টুপি পড়ছেন (আর্টিফিসিয়াল কিনিা জানি না)। একদিকে দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষকে ধোকা দেওয়া ও বিশ্ববাসীকে মেসেজ দেওয়া যে, আমরা যতদিন ছিলাম ততদিন চরমপন্থার উত্থান হতে দেইনি। আমরা নাই এখন বাংলাদেশে চরমপন্থা আছে। তিনি বলেন, সবচাইতে যারা চরমপন্থী, তারাই তাদের সন্তানদের হাতে হাতুরি তুলে দিয়েছিল এবং মাথায় হেলমেট পড়িয়েছিল। এদের চাইতে বড় চরমপন্থী ও সন্ত্রাসী বাংলাদেশে নেই। এদের শাসনামল পুরোটাই ছিল চরমপন্থা ও সন্ত্রাসের। জামায়াত সন্ত্রাসকে ঘৃণা করে বলেও জানান দলটির প্রধান ডা. শফিকুর।

তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, আমরা কোনো সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে আইন হাতে তুলে নিয়ে কোনো প্রতিশোধ নেবো না। তারা যেমনটি আইন হাতে তুলে নিয়ে মানুষকে দুঃখ-কষ্ট দিয়েছেন, মানুষের ওপর জুলুম করেছেন, আমরা সেটা করবো না। কিন্তু ন্যায়বিচার পেতে আমরা বিদ্যমান আইনের মাধ্যমে জুলুমের প্রতিকার চাইবো। আমরা সেই প্রতিকারটিই চাচ্ছি। গণঅভ্যত্থানের পর মজলুম দল হিসেবে প্রতিশোধ নেওয়ার অধিকার ছিল জামায়াত ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের। কিন্তু ৫৪ হাজার বর্গমাইলের দেশের কোথাও একটিও প্রতিশোধ নেওয়া হয়নি।

জামায়াতের আমির বলেন, যারা আমাদের বাড়িঘর ভেঙে দিয়েছিল, সম্পদ লুণ্ঠন করেছিল, চাকরি থেকে বিতারিত করেছিল, মা-বোনদের ইজ্জত নষ্ট করেছিল এই পরিবর্তনের পর আমরা তাদের ক্ষতি করিনি। আমরা কোথাও কারো সম্পদ দখল করি নাই। আমরা সহকর্মী, শুভাকাঙ্ক্ষী সুধীদেরকে অনুরোধ করেছিলাম আগামীতে একটি ঐক্যবদ্ধ জাতি গঠন করতে চাই। সীমাহীন ধৈর্য্যের পরিচয় দেওয়ার আহ্বান জানান জামায়াত আমির।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, স্বৈরাচারি শাসন কখনো স্থায়ি হয় না। আওয়ামী লীগ টিকতে পারেনি। তারা দেশে দেড় দশক ধরে অপশাসন- দুঃশাসন চালিয়ে গণবিচ্ছিন্ন হয়ে ক্ষমতা থেকে লজ্জা জনকভাবে বিদায় নিয়েছে। ছাত্র-জনতার দুর্বার আন্দোলনে টিকতে পারেনি। তাই অর্জিত বিজয়কে অর্থবহ ও টেকসই করতে দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তিনি দেশের স্বাধীনতা, স্বার্বভৌমত্ব ও অখন্ডতা রক্ষায় সকলকে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের আহবান জানান।

মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, আমরা বীরের জাতি। তাই আমাদেরকে কেউ কখনো পরাভূত করতে পারেনি; আর কখনো পারবেও না। দেশে দীর্ঘ মেয়াদে ফ্যাসীবাদী এবং স্বৈরাচারি শাসন চলেছে। তারা অবৈধ ক্ষমতাকে চিরস্থায়ি করার জন্য দেশের গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধ্বংস করে দিয়েছে। কিন্তু ফ্যাসীবাদের শেষ রক্ষা হয়নি।

সভাপতির বক্তব্যে মোহাম্মাদ সেলিম উদ্দিন বলেন, দেশকে ফ্যাসীবাদ মুক্ত করতে আমাদেরকে অনেক ত্যাগ ও কোরবানী করতে হয়েছে। ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর প্রকাশ্য দিবালোকে লগি-বৈঠার তান্ডব চালিয়ে মাসুম, শিপন, মুজাহিদ, জসিম উদ্দীন সহ ৭ জনকে শহীদ করে লাশের ওপর নৃত্য চালিয়ে নির্মম পৈশাচিকা প্রদর্শন করা হয়েছিল। কথিত বিচারের নামে প্রহসন করে শীর্ষনেতাদের হত্যা সহ শত শত নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল। কিন্তু তাদের শেষ রক্ষা হয়নি বরং ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে তাদেরকে লজ্জাজনকভাবে ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে হয়েছে। তাই ফ্যাসীবাদ বিরোধী জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার জন্য সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। তাদের সকল অপকর্ম জাতির সামনে তুলে ধরে আগামী দিনের কর্মপন্থা নির্ধারণ করার বিকল্প নেই। তিনি ফ্যাসীবাদী বিরোধী ঐক্য প্রতিষ্ঠায় দলমত নির্বিশেষে সকলকে একযোগে কাজ করার আহবান জানান।

সম্মেলনের উদ্বোধক শহীদ নাসিব হাসান রিয়ানের পিতা গোলাম রাজ্জাক বলেন, রিয়ান সব সময় শহীদ হওয়ার জন্য উদগ্রীব ছিল। আল্লাহ তাকে সে মহান মর্যাদা দান করেন। আমি আমরা তার জন্য গর্বিত। তিনি শহীদ রিয়ানের অসমাপ্ত স্বপ্ন পূর্ণতা দিতে সকলের প্রতি আহবান জানান।

সম্মেলনে ২৮ অক্টোবর ও বেষ্যম বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ পরিবারের সদস্য,জীবন্ত শহীদ আহত ভাইয়েরা আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন । সম্মেলনে ১০ হাজার ডেলিগেট অংশ গ্রহণ করেন।

  • সম্পর্কিত পোস্ট

    নিউ টাউন উত্তর ওয়ার্ডের ডিএফএল ৫ ইউনিটের উদ্যোগে সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়

    নিউ টাউন উত্তর ওয়ার্ডের ডিএফএল ৫ ইউনিটের উদ্যোগে সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সম্মানিত যাত্রাবাড়ী পূর্ব থানার নায়েবে আমির হাফেজ মাওলানা মুজাহিদুল ইসলাম। যাত্রাবাড়ি পূর্ব…

    আরও পড়ুন

    জাবি ছাত্রদলের ৬ নেতা বহিষ্কার

    জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্রদলের ৬ নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তারা হলেন, সদ্য আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক যোবায়ের আল মাহমুদ ও নাইমুর রহমান কৌশিক, রফিক জব্বার হলের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক আবদুল…

    আরও পড়ুন

    Leave a Reply

    Your email address will not be published. Required fields are marked *

    আপনি মিস করেছেন

    নিউ টাউন উত্তর ওয়ার্ডের ডিএফএল ৫ ইউনিটের উদ্যোগে সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়

    • By Admin
    • January 18, 2025
    • 0
    নিউ টাউন উত্তর ওয়ার্ডের ডিএফএল ৫ ইউনিটের উদ্যোগে সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়

    জাবি ছাত্রদলের ৬ নেতা বহিষ্কার

    • By Admin
    • January 17, 2025
    • 0
    জাবি ছাত্রদলের ৬ নেতা বহিষ্কার

    রাজশাহীতে পুনাকের শীতবস্র বিতরণ

    • By Admin
    • January 17, 2025
    • 0
    রাজশাহীতে পুনাকের শীতবস্র বিতরণ

    প্রেসসচিবের অ্যাকাউন্টে কত টাকা, আরো যত সম্পত্তি—জানালেন নিজেই

    • By Admin
    • January 17, 2025
    • 0
    প্রেসসচিবের অ্যাকাউন্টে কত টাকা, আরো যত সম্পত্তি—জানালেন নিজেই

    সাবেক মেয়র লিটনের পরিত্যক্ত বাড়ীতে এখন কি হচ্ছে???

    • By Admin
    • January 17, 2025
    • 0
    সাবেক মেয়র লিটনের পরিত্যক্ত বাড়ীতে এখন কি হচ্ছে???

    লুৎফুজ্জামান বাবর ১৭ বছর পর আজ বন্দি জীবন থেকে মুক্ত হচ্ছেন

    • By Admin
    • January 16, 2025
    • 0
    লুৎফুজ্জামান বাবর ১৭ বছর পর আজ বন্দি জীবন থেকে মুক্ত হচ্ছেন