রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার জিউপাড়া ইউনিয়নের সৈয়দপুর বাজারের দুজন ছাত্রলীগ নেতার মোটরসাইকেলের ধাক্কায় স্থানীয় আরেকজন হিন্দু ধর্মালম্বী বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
গত ১৭ জানুয়ারি শুক্রবার স্থানীয় উপজেলার সৈয়দপুর বাজারে বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাবার সময় সৈয়দপুরের এলাকার মুচিপাড়া গ্রামের সুমিত্রা রানী (৭০), মৃত ক্ষিতীশ দাসের স্ত্রী বিকেল চারটার দিকে ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় পেছন থেকে সজরে ধাক্কা দেয়ার ফলে, গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এরপর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১১ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর রোববার ২৬ জানুয়ারি রাতে মারা যায় সুমিত্রা রানী।
অপরদিকে জানা যায় মটর সাইকেল আরোহী ছিলেন হাসিবুল হাসান (শান্ত), স্থানীয় গ্রাম্য ডাক্তার ফজলুর রহমানের ছেলে, রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ছাত্রলীগের অপর কর্মী জুয়েল রানা, মকবুল হোসেনের ছেলে বলে জানা যায়। ওই ঘটনায় পুঠিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত জুয়েল রানার পিতা মকবুল হোসেন তিনি বলেন, বাজারের ভেতর বালু ও খড়ির মাঝে আমার ছেলের গাড়ির নিচে পড়ে আহত হয় ওই হিন্দু নারী। পরে তাকে আমরা চিকিৎসা করিয়েছি। এছাড়াও কিছু টাকা ও চাউল দিয়েছি। এরপরও বলেছি মারা গেলে লাশ দাহ করার জন্য খরচ দেবো। শুনছি তবুও তারা মামলা করেছে। অপরদিকে ছাত্রলীগ নেতা হাসিবুল হাসান শান্তর বাসায় গেলে শান্তর মা ছাড়া কাউকে পাওয়া যায়নি। অভিযুক্ত শান্তর মা বলছেন গাড়িটি ছিলো জুয়েল রানার আমার ছেলে গাড়ির পিছনে বসে ছিল আমার ছেলের কোন দোষ নেই।
অন্যদিকে নিহত সুমিত্রা রানীর ছেলে জগা দাস বলেন, আমাকে ১ হাজার ৪০০ শত টাকা দিয়েছে মিথ্যে কথা বলবো না। আমার মাকে যারা মেরে ফেলেছে এদের আমি বিচার চাই। আমার মায়ের গায়ের উপর গাড়ি তুলে দিয়েছে জুয়েল রানা ও শান্ত। আমি তাদের কঠোর বিচার দাবি করছি।
এসব বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে পুঠিয়া থানার (ওসি) কবির হোসেন জানান, গতকাল ভোরে ওই বৃদ্ধা মহিলা মারা গেছেন। পরে ওই ঘটনায় সড়ক ও পরিবহণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে
মো: গোলাম কিবরিয়া
রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি