শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া থানার সাবেক ওসি মোস্তাফিজুর রহমান,ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিন মোল্লা বিপি তদন্তকারী কর্মকর্তা মোঃ মোস্তফা কামাল খান তিনি প্রভাবিত হয়ে হত্যা চেষ্টা মামলা থেকে ১ আসামীর নাম বাদ দেওয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) বিকেল সারে ৩ টার সময় জেলার নড়িয়া উপজেলার পৌড়সভার বাংলাবজার এন বি ফার্মায় মোঃ বাবুল হোসেন অসুস্থ থাকায় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তার পুত্র নাজমুল হোসেন ও নাহিদ হোসেন।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) বিকেল সারে ৩ টার সময় জেলার নড়িয়া উপজেলার পৌড়সভার বাংলাবজার এন বি ফার্মায় মোঃ বাবুল হোসেন অসুস্থ থাকায় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তার পুত্র নাজমুল হোসেন ও নাহিদ হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় নৌকা মার্কার প্রার্থী শরীয়তপুর দুই, এ কে এম এনামুল হক শামীম, সাবেক এমপি তার দূর সম্পর্কের ভাগিনা শহিদুল ইসলাম বাবু রাড়ি ও তার ভাইয়েরা এবং তার ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা মিলে নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরে প্রথমে আমার বড় ছেলে মোঃ নাজমুল হোসেন এর উপর হামলা চালায় এই খবর পেয়ে আমার মেজো ছেলে মোঃ নাহিদ হোসেন তার বাংলাবাজারের ঔষধের দোকান এন বি ফার্মা থেকে মোটরসাইকেল চালিয়ে লোনসিং ভাগের বাড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয় আসে।
আসার সাথে সাথে আমার মেজো ছেলের চোখের উপর শহিদুল ইসলাম বাবু রাড়ি নিজ হাতে বন্দুকের ঘাড়া দিয়ে তিন থেকে চারবার আঘাত করে আঘাতের ফলে আমার ছেলে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এরপর এলোপাথারি ভাবে পিটানো হয় তারপর আমার ছেলেকে হসপিটালে নিয়ে যাওয়ার পথে মাদবর বাজার এলাকায় আসার পর বাবু রাড়ির পালিত সন্ত্রাসী নড়িয়া সরকারি কলেজের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আল আমিন বেপারী ও তার সাথে থাকা ১০-১২ জন মিলে আমার ছেলের উপর আবার হামলা চালায় এরপর আমার ছেলের মোটরসাইকেল টি পুড়িয়ে দেওয়া হয় এ বিষয়ে নড়িয়া থানায় একটা মামলা করা হয়। মামলহওয়ার পরে নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামলার তদন্তভার দেন সাব ইন্সপেক্টর মোঃ মোস্তফা কামাল খানকে।
কিন্তু তিনি মামলার সঠিকভাবে তদন্ত না করেই আমাকে ও আমার মেজো ছেলে মোঃ নাহিদ কে থানায় ডেকে নিয়ে মামলা প্রত্যাহারের জন্য হুমকি প্রদান করেন যার ভয়েস রেকর্ড আমাদের কাছে আছে, কোন অস্ত্র উদ্ধার না করেই,পুড়ে যাওয়া মোটরসাইকেল উদ্ধার না করেই, উলটো মামলা প্রত্যাহারের জন্য হুমকি দেয়। অস্ত্রের নাম বাদ দিয়ে ১ নং আসামীর নাম বাদ দিয়ে তিনি চার্জসিট দিয়েছেন এতে করে আমি এবং আমার পরিবারের সবাই আতঙ্কে আছি।
এর আগেও ২০২১ এর অক্টোবরের ২৩ তারিখ রাত সাড়ে নয়টার দিকে আমার মেজো ছেলে মোঃ নাহিদ হোসেন কে হত্যার উদ্দেশ্যে আরেকবার হামলা চালানো হয়েছিল সেটা মামলা করা হয়েছে সেটারও ভালোভাবে তদন্ত পাইনি বাংলাদেশে কি আইনের অভাব রয়েছে ,এটাই কি বাংলাদেশ , আমরা কি এমন বাংলাদেশ চেয়েছিলাম ,আমি চাই সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের নীতি নির্ধারকরা এর সুস্থ তদন্ত করে এই ধরনের সাব-ইন্সপেক্টর ও ওসিদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে এবং আমাদের এই মামলাটি পুনরায় তদন্ত করে দুসিদের বিচারের আওতায় আনা হয়।
রাব্বি ছৈয়াল শরীয়তপুর প্রতিনিধি