রাজধানীর শাহবাগে বিশাল জনসমাবেশের মাধ্যমে অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে “অহিংস গণঅভ্যুত্থান” নামে একটি সংগঠনের বিরুদ্ধে। সংগঠনটি দাবি করে, বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে প্রত্যেককে এক লাখ টাকা বিনা সুদে ঋণ দেওয়া হবে। এই প্রলোভনে সাধারণ মানুষকে সমাবেশে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
রোববার রাত থেকে বাস, পিকআপ ও মাইক্রোবাসে করে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ ঢাকায় আসতে শুরু করে। এদের বেশিরভাগই নিম্নআয়ের খেটে খাওয়া মানুষ, যারা ঋণ পাওয়ার আশায় সমাবেশে অংশ নিতে চেয়েছিল। তবে পুলিশ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের বুঝিয়ে ফেরত পাঠায়।
জানা গেছে, “অহিংস গণঅভ্যুত্থান” সংগঠনটি গরিব মানুষদের টার্গেট করে রেজিস্ট্রেশন ফি বাবদ জনপ্রতি ১ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। অধিকাংশ মানুষ জানত না, সেখানে কী ঘটবে। তারা কেবল শুনেছিল, শাহবাগে এলে বিনা সুদে ঋণ পাওয়া যাবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আজিজুল হক জানান, “আমরা প্রায় শতাধিক গাড়ি ফিরিয়ে দিয়েছি। এর আগেই শহরে ৮০০ বাস প্রবেশ করেছে।”
রমনা জোনের সহকারী কমিশনার আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, সংগঠনটি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১০ লাখ মানুষের সমাবেশের জন্য অনুমতি চেয়েছিল। তবে তাদের অতীত পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, প্রতারণার অভিযোগে সংগঠনের বিরুদ্ধে আগেও মামলা হয়েছে। এই সমাবেশের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে।
পুলিশ রাত থেকে সতর্ক অবস্থানে থেকে মানুষের সঙ্গে কথা বলে বুঝিয়ে তাদের ফেরত পাঠাচ্ছে। কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটকও করা হয়েছে।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সকাল ১০টা পর্যন্ত শাহবাগ, টিএসসি, চানখারপুল ও আনন্দবাজারসহ বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ ও শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিয়ে বাস ফেরত পাঠাচ্ছে।
উল্লেখ: আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে এবং প্রতারণার শিকার হওয়া মানুষদের বাড়ি ফিরে যেতে অনুরোধ জানাচ্ছে।
উৎস: ডেইলী জাষ্ট নাউ