রাষ্ট্রপতির অপসারণের দাবি উঠেছে
শেখ হাসিনার পদত্যাগ পত্র ইস্যুতে বিতর্ক ও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে আসা রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে শেষ পর্যন্ত কী পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে- এ নিয়েই এখন তীব্র কৌতূহল বিরাজ করছে রাজনৈতিক অঙ্গনে।
মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতির পদ থেকে সরিয়ে দেয়ার দাবিতে ইতোমধ্যেই শক্ত অবস্থান নিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। ইনকিলাব মঞ্চ, রক্তিম জুলাই, ফ্যাসিবাদ বিরোধী ছাত্র-জনতার মঞ্চসহ তাদের সমমনা বেশ কয়েকটি সংগঠন বঙ্গভবনের রাস্তা অবরোধ করে মঙ্গলবার গভীর রাত পর্যন্ত বিক্ষোভ করেছে।
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে ‘মিথ্যাচার’ এবং ‘শপথ ভঙ্গের’ মত অভিযোগ আনার পর এসব সংগঠনগুলো রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে সোচ্চার হয়ে উঠেছে।
রাজনৈতিক দলগুলো অবশ্য ‘দৃশ্যত সতর্ক’ পর্যবেক্ষণ করছে পরিস্থিতির। যদিও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাষ্ট্রপতিকে পদত্যাগের জন্য বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে এবং দেশের বর্তমান বাস্তবতায় রাষ্ট্রপতি পদে মো. সাহাবুদ্দিনের টিকে থাকাটা ‘কঠিন’ হয়ে পড়েছে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
“বিতর্কটা তারই সৃষ্টি। ফলে একে ঘিরে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সে প্রেক্ষাপটে এখন তাকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে তিনি কী করবেন। আমার মনে খুব শিগগিরই এর সুরাহা হবে,” বিবিসি বাংলাকে বলেন দৈনিক নয়াদিগন্তের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সালাউদ্দিন বাবর ।
আরেকজন বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ডঃ কাজী মারুফুল ইসলাম বলছেন বর্তমান পরিস্থিতি দেখে তার কাছে মনে হচ্ছে রাষ্ট্রপতি পদে মো. সাহাবুদ্দিনের থেকে যাওয়াটা কঠিন হবে এবং এর কারণ হলো রাষ্ট্রপতি তার গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছেন।
দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে চলতি বছরের এপ্রিলে শপথ নিয়েছিলেন মো. সাহাবুদ্দিন। তখনকার ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মনোনয়নে রাষ্ট্রপতি হওয়ার আগে তিনি সরাসরি রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন না। তবে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর তালিকায় তার নাম ছিলো।
কর্মজীবনে জেলা ও দায়রা জজ এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। চাকরি থেকে অবসরের পর হাইকোর্টে আইন পেশায় সম্পৃক্ত হয়েছিলেন তিনি।
সূত্র : বিবিসি