
ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিলে চরম ভোগান্তিতে রাজশাহী বিভাগের গ্রাহকরা। তাদের অভিযোগ, প্রতি মাসে ব্যবহারের চেয়ে বেশি আসছে বিল। এ নিয়ে বারবার অভিযোগ করেও মিলছে না প্রতিকার। তবে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়ার কথা।
রাজশাহী বিভাগে নেসকোর প্রায় ১১ লাখ ৩২ হাজার গ্রাহকের মধ্যে প্রিপেইড মিটার ব্যবহার করেন ৩ লাখ গ্রাহক।
রাজশাহীর পবা উপজেলার নওহাটার একটি বাড়িতে ভাড়া থাকেন ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলাম। মাসের পর মাস অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে হিমশিম খাচ্ছেন তিনি। প্রতি মাসে ব্যবহারের চেয়ে বেশি বিল আসার অভিযোগ তার।
মনিরুল ইসলাম বলেন, এখনও গরম পড়েনি। তাই ফ্যান-এসি চলে না। তারপরও বিল বেশি আসছে। একাধিকবার অভিযোগ জানানো হলেও সমাধান নেই।
শুধু মনিরুল নয়, তার মতো অনেকেরই একই অবস্থা। রাজশাহী বিভাগে নেসকোর প্রায় ১১ লাখ ৩২ হাজার গ্রাহকের মধ্যে প্রিপেইড মিটার ব্যবহার করেন ৩ লাখ গ্রাহক।
তাদের অভিযোগ, প্রিপেইড মিটারে টাকা রিচার্জ করার সঙ্গে কেটে নেয়া হয় বিভিন্ন চার্জ। পুরানো মিটারের ক্ষেত্রে নিজেদের খেয়ালখুশি মতো বিল নির্ধারণ করছে কর্মরতরা। এ নিয়ে নেসকো ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে একাধিকবার অভিযোগ দিয়েও কোন সমাধান মিলছেনা।
গ্রাহকরা বলছেন, আগে মাসে ৫০০-৭০০ টাকা বিল আসলেও, বর্তমানে সেটি আসছে ১৫০০-২০০০ টাকা। ইচ্ছে করে বাড়তি বিল করছেন কর্মকর্তারা। তবে নর্দার্ন ইলেক্ট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানির (নেসকো) দাবি, গ্রাহকদের অভিযোগের ভিত্তিতে সমাধান করে দেয়া হচ্ছে।
রাজশাহী নেসকোর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. মাহবুবুল আলম চৌধুরী বলেন, প্রিপেইড মিটারে বেশি বা কম বিল আসার সুযোগ নেই। তবে আগের মিটারে ম্যানুয়ালি বিল হিসাব করা হয়, সেখানে কিছুটা ভুল হতে পারে। অভিযোগ পেলে যাচাই-বাছাই শেষে সমাধান করা হচ্ছে বিষয়গুলো।
রাজশাহী বিভাগে ৪২ লাখ গ্রাহক দৈনিক গড়ে নেসকোর সাড়ে ৩শ মেগাওয়াট ও পল্লী বিদ্যুতের সাড়ে ৫শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ব্যবহার করেন। দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হবে, এটাই সকলের প্রত্যাশা
মো: গোলাম কিবরিয়া
রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি