বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনে (পিএসসি) সদস্য হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে তিনিসহ আর পাঁচজনকে নিয়োগ দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চুক্তি ও বৈদেশিক নিয়োগ শাখা থেকে প্রজ্ঞাপন জারি হয়।
সংবিধানের ১৩৯(১) অনুচ্ছেদ অনুসারে তারা দায়িত্বভার গ্রহণের তারিখ থেকে ৫ বছর বা তার ৬৫ বছর বয়স পূর্ণ হওয়া- এর মধ্যে যা আগে ঘটে, সে কাল পর্যন্ত কমিশনের সদস্য পদে বহাল থাকবেন।
মো: মুনির হোসেন শরীয়তপুর জেলার সখিপুরের চরভাগার বকাউল পরিবারের সন্তান। ১৯৯৫ সালে ১৫ তম বিসিএস-এ পুলিশ সার্ভিসে যোগদান করেন। পুলিশ সুপার হিসেবে নেত্রকোনা ও সিরাজগঞ্জ দুটি জেলায় দায়িত্ব পালন করেন। ডেপুটি পুলিশ কমিশনার হিসেবে ঢাকা ও চট্টগ্রাম জেলায় মেট্রোপলিটন পুলিশ ইউনিটে দায়িত্ব পালন করেছেন। সিআইডিতে বিভাগীয় পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে দুইবার কসবা ও পূর্ব তিমিরে দায়িত্বে ছিলেন।
দেশ ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একাধিকবার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন তিনি। বিশেষভাবে অস্ট্রেলিয়া ও মালয়েশিয়াতে পুলিশ তদন্তের ওপর বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, ভারত, তুরস্ক, পাকিস্তান, সৌদি আরব, ফ্রান্স, ইতালি, পূর্ব তিমির ও কসভোতে প্রশিক্ষণ চাকরি ও অন্যান্য প্রয়োজনে ভ্রমণ করেন তিনি।
বিসিএস পুলিশ সার্ভিসে চরমভাবে বৈষম্যর শিকার হন মো: মুনির হোসেন। ১৯৯৭ সালে প্রবেশনাল থাকা অবস্থায় চাকরী হতে অপসারণ এবং পরবর্তীতে এডমিনিস্ট্রেটিব ট্রাইবুনালের রায়ে ২০০২ সালে চাকরিতে পূর্ণবহাল হন তিনি। ২০১১ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে ওএসডি করে পুলিশ হেডকোয়ার্টারে সংযুক্ত করা হয় তাকে। তাকে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়।
২০২৪ সালের ২৫ সেপ্টম্বর এডমিনিস্ট্রেটিব ট্রাইবুনালের রায়ে এডিশনাল আইজিপি হিসেবে ভুতাপেক্ষিক পদোন্নতির আদেশের প্রেক্ষিতে ১৭ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা কর্তৃক পদোন্নতির প্রজ্ঞাপন জারি করে। এরপর বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার।
মহান আল্লাহ সম্মানিত ভাইকে নেক হায়াত দান করুক এবং দায়িত্ব যথাযথ পালনের তৌফিক দান করুক। আমীন